দৈনন্দিন জীবনে কমবেশি অনেকেই ক্লান্তি বোধ করেন।
তবে এই ক্লান্তি বোধ করার পরিমাণ যদি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি হয়ে দাঁড়ায় তবে এটা বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
কাজে অমনোযোগী, কাজের সময় ঝিমানো , অবসন্ন ইত্যাদি ক্লান্তির লক্ষণ।
এই ধরনের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
পুষ্টি ঘাটতি ,অনিদ্রা, পানিশূন্যতা ও ব্যায়াম না করা সহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
ক্লান্তি লাগার বেশ কিছু কারণ ও প্রতিকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট( টপ হোম রেডি )
পানি কম খাওয়া :
ক্লান্তি ও বিষন্ন লাগার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে পানি কম খাওয়া।
শরীরে সামান্য পরিমাণ পানির অভাব দেখা দিলে ক্লান্তি অনুভূত হয়।
তাই আমাদের দৈনিক কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত।
এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস হওয়া উচিত।
ব্যায়াম না করা :
২০০৮ সালের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয় শরীর কান্ত লাগা ৬৫% দূর করা যায় ব্যায়াম করার মাধ্যমে।
এজন্য সপ্তাহেঅন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা উচিত।
ঘুমের ঘাটতি :
ঘুমের ঘাটতি হলে শরীর ক্লান্ত থাকে এবং মেজাজ খিটখিটে হয় যা শরীরে সরাসরি প্রভাব ফেলে।শরীরে পুষ্টি ঘাটতি :
শরীরে পুষ্টি ঘাটতি দেখা দিলে শরীর এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায়এবং এতে ক্লান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
এজন্য নিয়ম মেনে সময় মতো খাবার খাবেন।
এবং পুষ্টিকর খাবার , ভিটামিন এ, বি ,সি সহ আয়রন জাতীয় খাবার খাবেন।
স্থূলতা :
কোন প্রকার পরিশ্রম না করে নিয়মিত শুয়ে-বসে জীবন যাপন করলে শরীরে ক্লান্ত ভাব অনুভূত হয়।শরীর অবসন্ন এবং ঘুমের সমস্যা হয়।
তাই ক্লান্তি ভাব দূর করতে আমাদের শারীরিক শ্রম এবং ওজন কমানো উচিত।
উপরোক্ত নিয়মগুলো পালন করার পরও যদি আপনার ক্লান্তি ভাব দূর না হয় তবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।