ওজন কমানোর যতটা কঠিন মনে হয় ঠিক ততটা কঠিন নয়। সামান্য চেষ্টা আর ধৈর্য থাকলে ওজন কমানো সম্ভব।
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন।
আবার কেউ একেবারে খাওয়া কমিয়ে দেন। তবে ওজন কমানোর জন্য কোন সময় কোন খাবার কমিয়ে দিতে হবে তা জেনে নেওয়া জরুরী। আজ আমি এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব
কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানো যায়
১. প্রথমে জানতে হবে কোন কোন খাবারে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং সেসব খাবারগুলো আমাদেরকে খুব কম পরিমাণে খেতে হবে বা সম্ভব হলে বাদ দিতে হবে।
তার মধ্যে রয়েছে চিনিগো ক্যালরিযুক্ত খাবার যেগুলো টোটালি পরিহার করতে হবে।ওজন কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই ক্ষুদার মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে।
আপনার শরীরে চর্বি জমে আছে তা পরিশ্রমের মাধ্যমে কমিয়ে ফেলুন।
চর্বি কমানোর বিশেষ উপায় হল হালকা গরম পানি পান করা। এভাবে বেশি পানি পান করালে আপনার কিডনী ও ভালো থাকবে। যা পেট মোটা হওয়া কমাতে সহায়তা করে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে সপ্তাহে ১০ পাউন্ডের বেশি ওজন কমানো সম্ভব। এতে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী ওজন কমবে যার ফলে আপনার কম ক্যালরিযুক্ত খাবারের আগ্রহ আসবে।
এই সহজ পদ্ধতিতে চর্বি কমানোর মাধ্যমে আপনি ওজন কমাতে পারবেন। মোটকথা অবশ্যই শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
২. খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। যে খাবারগুলো ওজন কমাতে সহায়তা করে সেই খাবার বেশি খেতে হবে এবং সেই খাবারগুলো ওজন বাড়াতে সহায়তা করে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের তালিকা প্রোটিন শাকসবজি এবং চর্বি জাতীয় খাবার রাখুন।
এই খাবারগুলো প্রতিদিন 20 থেকে 50 গ্রাম খান। খাবারে প্রোটিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দিন। যেমন গরুর মাংস, মুরগির মাংস, চিংড়ি এবং সামুদ্রিক মাছ। রাতে ঘুমানোর পূর্বে ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে।
অধিক পরিমাণে শাকসবজি খাবেন। খাবারের সময় প্লেটে ভাতের চেয়ে শাকসবজির মাত্রা অনেক বেশি রাখবেন।
শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়বে না। ওজন কমাতে চাইলে চর্বি খেতে ভয় পাবেন না। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন।
৩. ব্যায়াম, ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম খুবই দরকারি। ওজন কমাতে হলে আপনাকে জিমে গিয়ে অথবা বাসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি জিমে গিয়ে নতুন সদস্য হিসাবে ব্যায়াম করে থাকেন তবে প্রথমেই কঠিন কোন ব্যায়াম করা উচিত নয়। ব্যায়াম করার আগে প্রয়োজনে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিবেন।
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়