যুক্তরাজ্যের কিছু গবেষকদের মতে, মানসিক কারণই হতে পারে পেটের সমস্যা ।
পৃথিবীতে প্রায় ১০-২০ শতাংশ মানুষ এই ধরনের পেটের সমস্যায় ভোগেন, যাকে বলা হয় আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম।
এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যাক্তির হঠাৎ পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, ক্লান্তি,কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়া, বমি ও মল-মূত্র নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিতে পারে । যার ফলে আক্রান্ত ব্যাক্তির দৈনন্দিন জীবন যাপনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই রোগের তেমন কোন কারন জানা আজ্য না।তাই এই রোগকে বলা হয় ‘ফাংশনাল ডিজঅর্ডার’ অর্থাৎ যার কোন কারণ জানা নেই কারো। উপসর্গ দেখেই এই রোগ শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে আইবিএস চিকিৎসায় রোগিদের ব্যায়াম ও মেডিটেশন করানো, প্রোবায়োটিক খাওয়া বা কিছু খাদ্য ও পানীয় বাদ দেওয়া, ডায়ারিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর ওষুধ দেওয়া হতে পারে। কিন্তু গবেষকদের মতে, এসব রোগিকে মানসিক সমস্যা ধরে নিয়ে এই রোগীকে থেরাপি দেওয়া হলে তা এসব উপায়ের চেয়ে বেশি কার্যকরী হয়।
এই আইবিএস আছে এমন ৫৫৮ জন মানুষকে নেওয়া হয়।
আইবিএস রোগে ভোগছেন এমন ৫৫৮ জন মানুষকে নিয়ে গবেষণা করা হয়।
তাদের বেশির ভাগ রোগিদের আইবিএসের জন্য প্রচলিত চিকিৎসা দেওয়া হয়। আব কিছু লোককে আটটি থেরাপি দেওয়া হয়।
এক বছরের ফলাফল এ দেখা যায়, আটটি থেরাপি গ্রহণকারিদের আইবিএসের মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে।
রোগীরা দাবি করেন,
আটটি থেরাপি নেওয়ার পর তারা কিছটা ভালো আছেন।
এই থেরাপি ইন্টারনেট বা টেলিফোনের মাধ্যমেও দেওয়া হয়। যা কর্যকরি ভুমিকা রাখে।
জনসাধারণের জন্য এই থেরাপি এখনো উন্মোক্ত নয়, তবে ।অল্প কিছু দিনের মধ্যেই উন্মোক্ত হতে পারে আইবিএস নিরসনের এই থেরাপি।