ঘুমের ঘরে স্বপ্ন অনেকেই দেখেন তবে কেউ দুঃস্বপ্ন দেখেন আবার কেউ ভালো স্বপ্ন দেখেন।
সুস্থ এবং অসুস্থ যে কোন মানুষ স্বপ্ন দেখতে
পারে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ঘনঘন স্বপ্নের পেছনে কিছু কারণ রয়েছে।এর মধ্যে অনেকেই আছে যারা বেশি রাত জেগে খাবার খায়।
ফলে রাতে পেট ভরা থাকে যার কারণে আমাদের হজম শক্তি সমস্যা হয়
তখন মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে আর মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকার কারণে মানুষ স্বপ্ন দেখে।
আরো কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পর্যাপ্ত
পরিমাণ ঘুম না হওয়ার কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। যারা বেশি পরিমাণ রাত জাগে তাদের দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা বেশি দেখা দেয়।
তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে হবে।
এজন্য ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধ খেয়ে ঘুমাতে পারেন পাশাপাশি জেসমিন তেল ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন এমন ব্যক্তি বেশি পরিমাণ দুঃস্বপ্ন দেখেন।
তাই মানসিক চাপ কমাতে বই পড়া ,গান শোনা, চা খাওয়া এবং ব্যায়াম করা উচিত।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হতে পারে আপনার রাত জাগার প্রধান কারণ।
ঘুম কম হলে বেশি দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা বাড়ে ..
যেসব কারণে আমাদের রাতে ঘুম কম হয় সেসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
ঘুমানোর জন্য বাধা সৃষ্টি করে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
রাতের বেলা অতিরিক্ত টিভি দেখা কম্পিউটার ইউজ করা মোবাইল
ফোন চালানো বা উচ্চস্বরে গান শোনা ঘুমের জন্য বাধা সৃষ্টি করে।
তাই এসব কাজ থেকে আমাদের রাতের বেলায় বিরত থাকা উচিত।
রাতের খাবার বেশি রাত হওয়ার পর না খেয়ে সন্ধ্যা সাতটার
আগেই হালকা ধরনের খাবার খেয়ে রাতের খাবার শেষ করা উচিত।
কারণ ঘুমানোর পর আমাদের শরীরের হজম ক্ষমতা হ্রাস পায়
এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ কাজ করতে অক্ষম থাকে
যার ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
.
এজন্য যাদের জীবনে অতিরিক্ত তো স্বপ্ন দেখার প্রবণতা আছে
তাদেরকে এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তিদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত.